Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Classic Header

{fbt_classic_header}

Top Ad

//

New Post:

latest

ইসলাম কি নারীদের অধিকার দেয়নি?

  আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ,আপনি যদি একজন নারী হয়ে থাকেন? তাহলে আপনার মনে প্রশ্ন থাকতে পারে, ইসলাম কেন? নারীদেরকে; ১ এর অধিক বিবাহ...

 

আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ,আপনি যদি একজন নারী হয়ে থাকেন? তাহলে আপনার মনে প্রশ্ন থাকতে পারে, ইসলাম কেন? নারীদেরকে; ১ এর অধিক বিবাহ করার সুযোগ দেয়নি। যেখানে পুরুষদের ৪ টি বিবাহ করার সুযোগ রয়েছে। ইসলাম কেন নারীদের পর্দা করার কথা বলেছে। পুরুষদের কে তো বলেনি সম্পূর্ণ শরীর ঢেকে রাখতে। একজন মেয়ে, কেন ছেলেদের সম্পত্তির অর্ধেক পাবে। পুরুষরা কেন ২ গুন পাবে। ইসলামে কেন নারী নেতৃত্ব নিষিদ্ধ। তাহলে কি ইসলাম নারীদের কে সমান অধিকার দেয়নি। জানতে হলে এই ভিডিও শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখতে থাকুন।

প্রথমেই বলে নেই, ইসলাম অন্যান ধর্মের মতো নয়। এটা একটা জীবন বিধান, আর মহান আল্লাহ তায়ালা এই জীবন বিধানে সর্বোচ্চ ছাড় দিয়েছেন, মানে সর্বোচ্চ যতটুকু ছাড় দিলে কারো ক্ষতি হবে না, সবাই সমান অধিকার পাবে।

এখন ১ম পয়েন্ট এ আসা যাক। ইসলাম কেন নারীদের এক এর অধিক বিবাহ করার সুযোগ দেননি। আর পুরুষদের কেন একের অধিক বিবাহ করার সুযোগ দিয়েছে? 

আপনারা যদি আধুনিক বিশ্বের দিকে খেয়াল করেন, তাহলে দেখতে পাবেন মানুষ বিবাহ ছাড়াই অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করছে। কিন্তু এর কারনে তারা এইডস সহ আরো বিভিন্ন রোগে ভোগছে। ইসলাম যদি ছেলে মেয়েদেরকে অগনিত বিয়ে করার অনুমতি দিত তাহলে তাহলে ঈমানদাররাও এই ধরনের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতো। 

ইসলামে ধর্ম অনুযায়ীএকজন পুরুষ একসাথে ২ জন কিংবা তার অধিক স্ত্রীকে সঙ্গে রাখতে পারবে না। যেভাবে থাকলে কখনো এইডস কিংবা এই ধরনের রোগে আপনি কখনো ভোগবেন না। অনেকে বলতে পারেন ।এখন ছেলেদের বিষয়টা তো ক্লিয়ার হলো, তাহলে মেয়েদেরকেও কেন এই রকম সুযোগ দিল না। 

এখানে প্রথম কথা হচ্ছে যদি ছেলেদের কে একটি এবং মেয়েদেরকে ৪ টি বিবাহের অনুমতি দিত তাহলে ছেলেরাও একই প্রশ্ন করতো আমাদের কেন সমান অধিকার দেওয়া হয়নি। যেহেতু ছেলে মেয়ে দুইজনকেই ৪ টা বিবাহ করার অনুমতি দেওয়া যাবে না, কারন এতে কারা কারী লেগে যাবে। আর এতেও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

আর দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে মেয়েরা গর্ভবতী হন। এখন একজন মেয়ের ৪ জন স্বামী হলে তার সন্তানের পিতা কে এটা নির্ধারণ করা যাবে না। এখন এরজন্য অনেকে বলতে পারেন তাহলে পুরুষরা কেন গর্ভবতী হবেন না। মহিলাদেরকেই কেন আল্লাহ তায়ালা গর্ভবতী হওয়ার ক্ষমতা দিয়েছেন। আপনি নিজেই চিন্তা করুন, এখন যদি একজন পুরুষ কে গর্ভবতী হওয়ার সুযোগ দেওয়া হতো তাহলে কিন্তু বিযষয়টা উল্টা হয়ে যেত। মানে তখন ঐ সেইম প্রশ্ন পুরুষ রা করতো। আসলে কাওকে না কাওকে তো গর্ভবতী হতে হবে। আর গর্ভবতী হওয়ার জন্য ইসলাম মহিলাদের কে আরো বেশি সম্মান দিয়েছে। ইসলাম বাবার থেকে মা কে ৩ গুন বেশি সম্মান দিয়েছে। তাই বলা যায় গর্ভবতী হয়ে মহিলারা ঠকছে না । বরং সম্মান ৩ গুন বেশি পেয়েছে।

চতুর্থ বিষয়টি হচ্ছে নারীদের সংখ্যা পুরুষদের তুলনায় বেশি।এর কারন সারা বিশ্ব জুড়ে, পুরুষের চেয়ে নারীদের আয়ুষ্কাল বেশি। এবং নারী সন্তান জন্ম নেয়ও বেশি। বিশ্বাস না হলে আপনি ইন্টারনেট কিংবা অন্যান্য কোথাও খুজ নিয়ে দেখতে পারেন পৃথিবীতে নারীদের হার বেশি নাকি পুরুষের হার বেশি। এখন যদি নারীদেরকে ৪টা বিবাহ করার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে কিছু নারীর চারটা বিবাহ করার ফলে অনেক নারীদেরই আজীবন অবিবাহিত থাকতে হবে। যেহেতু পুরুষের সংখ্যা কম। কিন্তু নারীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় পুরুষরা ৪ টা বিয়ে করলেও তাদের বিয়ে করার জন্য নারীর অভাব হবে না। মানে পুরুষরা ৪ টা বিয়ে করলেও নারীদেরই লাভ। 

আর ইসলাম কিন্তু কখনো বলেনি পুরুষদের চারটা বিয়ে করতে হবে। ইসলাম বলেছেন প্রয়োজন হলে ৪ টা বিবাহ করো, কিন্তু যিনা করো না। এবং এরজন্য কিছু শর্তও রয়েছে, পুরুষদের জন্য প্রথম বিবাহ করার জন্য দুটি শর্ত দিয়েছেন, শারীরিক কোনো সমস্যার থাকা যাবে না, স্ত্রীর ভরণপোষণ এর যোগ্যতাতা থাকতে হবে। কিন্তু একের অধিক বিবাহ করার পূর্বে তিনটি শর্ত রয়েছে। সকল স্ত্রীর সাথে ন্যায় সঙ্গত থাকতে হবে, মানে এক স্ত্রীকে অন্য স্ত্রীর চেয়ে বেশি ভালোবাসা যাবে না। যদি আপনার মনে হয় আপনি সবাই কে সমান অধিকার দিতে পারবেন না, তাহলে আপনার জন্য ২য় বিবাহ করা জায়েয নেই, অথবা যে স্ত্রীকে সমান অধিকার দিতে পারবেন না, তাকে তালাক দিয়ে নতুন বিবাহ করতে হবে। আর নারীদের জন্য বিবাহের কোন শর্তই নেই। 

ইসলাম কি নারীদের অধিকার দেয়নি?


এখন ২য় পয়েন্ট এ তে আসা যাক। ইসলাম কেন মহিলাদেরকে পর্দা করার কথা বলেছে। পুরুষদের কেন সম্পূর্ণ শরীর ঢেকে রাখতে বলেনি।

এখন আপনি নিজেই চিন্তা করে দেখুন কোনটা উত্তম হবে। পুরুষদের কে পর্দা করার কথা বললে পুরুষদেরকে ঘড় সামলাতে হতো। আর নারীদেরকে বাইরের কাজ করতে হতো ইত্যাদী।আর পুরুষ রা যখন বাইরে বের হতো তখন বোরকা পরতো আর নারীরা নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঢেকে রাখতো। নারীরা বাইরে রিক্সা চালাতো, চাউলের বস্তা টানতো। যেহেতু পুরুষরা বোরকা পরে এইসব কাজ করতে পারবে না। এখন যেহেতু সকল নারীরা পর্দাহীন এবং কিছু নারী শুধু নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঢেকে রাখে। এরজন্য বেশিরভাগ পুরুষরাই যখন বাইরে বের হয় তখন অনেকে নিজেদের কন্ট্রোল করতে না পেরে ধর্ষন করে ফেলে। আর যেহেতু নারীরা পুরুষের থেকে দুর্বল, তাই তারাও প্রতিরোধ করতে পারে না। পরে হয়তো আইনের ব্যাবস্থা নিবে । কিন্তু ধর্ষণ ঠিকই হবে।

একটু ভেবে দেখুন, বর্তমানে নারীদের পর্দা করার জন্য কোন নারী পুরুষকে ধর্ষণ করতে পারছে কিনা। যেহেতু নারীদের কন্ট্রুল ক্ষমতা বেশি তাই নারীরা নিজেদের কন্ট্রোল করতে পারছে, আর কোন নারী কন্ট্রোল করতে না পারলেও কিছু করতে পারছে না। কারন একজন নারির ক্ষমতা নেই পুরুষকে ধর্ষণ করার।

এখন ৩য় পয়েন্ট এ তে আসা যাক। ইসলাম কেন পিতার সম্পত্তি কন্যাদেরকে পুত্রদের অর্ধেক দিয়েছেন।

ইসলাম অনুযায়ী একজন মহিলার ভরণ পোষণের দায়িত্ব তার নিজের নয়। বিয়ে হলে তার স্বামীর আর বিয়ে না হলে তার বাবার। কিন্তু একজন পুরুষের বালেগ হওয়ার সাথে সাথে তার ভরণ পোষণের দায়িত্ব তার নিজের এবং বিবাহ করার পর নিজের সাথে তার তার স্ত্রীর ভরণপোষণ এর দায়িত্ব যোগ হয়ে যায়। তার মানে একজন মহিলার থেকে পুরুষের সম্পদের চাহিদা ২গুন। আর বাস্তবতা হিসাব করলে একজন মহিলার সম্পদের চাহিদাই নেই যেযেতু তাদের ভরণপোষণের লোক রয়েছে। এরপরও ইসলাম তাদেরকে অর্ধেক সম্পদ দিয়েছে, কারন বাইচান্স পিতার মৃত্যুর পর বিয়ে হওয়ার আগ পর্যন্ত যদি ভাইয়েরা না দেখে তাহলে সে কিভাবে চলবে। এখানে কোন রিক্স নেয়নি ইসলাম। 

মূলত ইসলামে মেয়েদের কে স্বামীর ভরণ পোষণ এর দায়িত্ব নিতে হয় না বলে তাদেরকে সম্সত্তির অর্ধেক দিয়েছে।

আর ইসলাম বলেছে কন্যাদেরকে উঁচু পরিবারে বিয়ে দিতে। তাহলে কন্যারা যদি উঁচু পরিবারে বিয়ে করে, এরপরও তাদের আরো কোন সম্পত্তির প্রয়োজন আছে কিনা?

একটি বিষয় ভেবে দেখুন, আপনি আপনার ভাই এর সম্পত্তির অর্ধেক পাবেন। আর এরজন্য আপনার স্বামীও তার বোনের দিগুন সম্পদ পাবেন। এখানে যদি আপনি ভাইয়ের সমান সম্পত্তি পেতেন। তাহলে আপনার স্বামীও সম্পত্তি কম পেত। মানে গড়ে সমানই থাকতো। যেহেতু ইসলামে পুরুষরা নারীদের ভরণ পোষণ করেন। তাই তাদের সম্মানি হিসেবে তাদেরকে সম্পত্তি বেশি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ঘুরে ফিরে সম্পত্তি কিন্তু সমানি পাচ্ছে।

এখন আসা যাক সর্বশেষ পয়েন্টে। ইসলামে নারী নেতৃত্ব নিষিদ্ধ কেন?

দর্শক মন্ডলি আসলে যদি সরাসরি বলি নারী নেতৃত্ব ইসলামে নিষিদ্ধ, তাহলে ভুল হবে। কারণ মহানবী সাঃ কখনো বলেনি মহিলারা নেতৃত্ব করলে জাহান্নামে যাবে। কিন্তু তিনি বলেছেন নারী নেতৃত্ব কারী দেশ গুলো অচিরেই ধ্বংস হয়ে যাবে, সেইসব দেশে কখনো উন্নতি আসবে না। আর যেহেতু ইসলামে সকল ক্ষতিকর বিষয় হারাম, তাই একটি দেশের জন্য নারী নেতৃত্ব হারাম, কারণ এতে দেশের ক্ষতি হবে। এখন নাস্তিকরা তো আর মহানবী সা এর মুখের কথা বিশ্বাস করবে না। এর জন্য বৈজ্ঞানিক প্রমান দিচ্ছি।

বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছে মেয়েদের থেকে ছেলেদের মস্তিষ্ক বড়। পুরুষদের মস্তিষ্কে স্নায়ুকোষের সংখ্যা নারীদের চেয়ে সাতগুণ বেশি।এইজন্য পুরুষরা যে কোন সিদ্ধান্ত দ্রুত নিতে পারেন। তবে নারীদের আবার স্নায়ুসংযোগকারী নার্ভ পুরুষদের তুলনায় দশ গুণ বেশি।

তাই তাদের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা এবং বাকশক্তি অনেক বেশি থাকে। পুরুষদের মস্তিষ্ক অনেক কাজ মেয়েদের চেয়ে বেশি দক্ষ। উদাহরণ হিসেবে গাণিতিক সংখ্যাতত্ত্ব, স্থাপত্যবিদ্যা, ক্রীড়াবিদ্যা এবং মাপজোকের কাজের কথা বলা যায়।

তবে গবেষণায় জানা গেছে, পুরুষরা কাজকর্ম করার ক্ষেত্রে ডান অথবা বাম যে কোনও একটি মস্তিষ্কের উপরই নির্ভরশীল থাকেন। অন্যদিকে, নারীরা ব্রেনের দুটি অংশেরই সমানভাবে ব্যবহার করে। এই কারণে পুরুষদের তুলনায় মেয়েরা কাজকর্ম গুছিয়ে করতে পারেন।

এর থেকে আমরা বুঝতে পারলাম পুরুষদের সিদ্ধান্ত নেওয়া কিংবা কোন কিছু বুঝার দক্ষতা বেশি। যা নেতৃত্বের জন্য জরুরি। আর নারীদের গুছিয়ে কাজ করার ক্ষমতা বেশি, যা ঘড় সামলানোর জন্য জরুরি।

এই সবগুলো উত্তর শুনার পরও অনেকের মনে দ্বিধা থাকতে পারে, এরজন্য একটি উদাহরণ দিচ্ছি।

মনে করেন আপনার দু জন সন্তান আছে। তাদের মধ্যে একজন এর চোখে সমস্যা, আর অন্য জনের একটা হাত নেই। এখন আপনি আপনার অন্ধ সন্তান এর জন্য চশমা এবং পন্গু সন্তানের জন্য রোবটিক হাতের ব্যাবস্থা করলেন। এখন যদি ঐ অন্ধ সন্তান যদি বলে আপনি তাকে কমদামি জিনিস দিয়েছেন, আপনি তাকে ঠকিয়েছেন। তাহলে কি তার কথা সঠিক হবে। কখনোই না, কারণ আপনি যার যা প্রয়োজন তাকে তাই দিয়েছেন। ইসলামের ক্ষেত্রেও ঠিক এমনই। এর জন্য আল্লাহ তায়ালা কিছু ক্ষেত্রে নারীদেরকে আর কিছু ক্ষেত্রে পুরুষদেরকে সুজুগ দিয়েছেন।

আশা করি বিষয় গুলো বুঝতে পেরেছেন।

আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওবারাকাতুহ


কোন মন্তব্য নেই