Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Classic Header

{fbt_classic_header}

Top Ad

//

New Post:

latest

নামাজের বৈজ্ঞানিক সুফল। যা জানলে একজন হিন্দু/অমুসলিম ব্যক্তিও নামাজ পড়তে চাইবে

 প্রত্যেকটি মুসলিমের জন্য নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক। ইসলাম ধর্মে যে চারটি মূল ভিত্তি রয়েছে, তারমধ্যে অন্যতম হলো নামাজ। কিন্তু এই নামাজে রয়েছে...

 প্রত্যেকটি মুসলিমের জন্য নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক। ইসলাম ধর্মে যে চারটি মূল ভিত্তি রয়েছে, তারমধ্যে অন্যতম হলো নামাজ। কিন্তু এই নামাজে রয়েছে প্রায় ১০০টির ও বেশি বৈজ্ঞানিক সুফল। বিভিন্ন বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন একজন বেনামাজী ব্যাক্তির চেয়ে নামাজী ব্যাক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শতগুণ বেশি। এছাড়াও বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে নামাজে রয়েছে আরো কিছু মারাত্মক ধরনের সুফল, যা জানলে আপনি অবাক হবেন।

নামাজ হলো সর্বোত্তম ব্যায়াম। এটা অলশতা, বিষন্নতা দূর করে, মানুষের জীবনের সকল কাজ কর্মে শৃঙ্খলা নিয়ে আসে।

পাকিস্তানী ডাক্তার মাজের জামান উসমানী, ইউরোপে ফিজিও থেরাপীতে উচ্চ ডিগ্রী অর্জন করতে গেলে, তাকে হুবহু নামাজের মতোই একধরনের ব্যায়াম পড়ানো ও বুঝানো হয়। যা দেখে তিনি বিস্মিত হয়ে বলেন, এতদিন আমরা নামাজকে ধর্মীয় ইবাদত মনে করে আসছিলাম, কিন্তু এখন দেখছি এই নামাজেই রয়েছে, ১) মানসিক রোগ ২) স্লায়ুবিক রোগ ৩) অস্থিরতা, ডিপরেশন, ব্যাকুলতার রোগ ৪) মনস্তাত্ত্বিক রোগ। ৫) হার্টের রোগ ৬) জোড়া রোগ ৭) ইউরিক এসিড থেকে সৃষ্ট রোগ ৮) পাকস্থলী ও আলসার রোগ ৯) ডায়বেটিকস ও তার প্রভাব ১০) চক্ষু ও গলা রোগের সেবা। 

 কিছু বিজ্ঞানীদের গবেষণায় দেখা গেছে, নামাযী ব্যাক্তির চেহারায় এক প্রকার উৎফুল্লতাভাব পরিলক্ষিত হয়। যা বেনামাযী ব্যাক্তির চেহারায় দেখা যায় না। একজন ব্যাক্তির নামাজে দাঁড়ানো অবস্থায়, শরীরের নিম্নভাগের রক্তচাপ বেশি থাকে। আবার সিজদায় গেলে উপরিভাগে রক্তচাপ বেশি থাকে। ফলে শরীরের প্রত্যেকটা জায়গায় পরিমাণ মতো রক্ত আসাযাওয়া করতে পারে। ফলে অনেক রোগ এমনিতেই ভালো হয়ে যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের বিংহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক জানিয়েছেন, নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে সুস্থ থাকা যায়। নামাজ পড়ার মাধ্যমে মানুষ শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে পারে।

গবেষণায় আরও উল্লেখ করা হয়, ‘যদি নিয়মিতভাবে নামাজ পড়া হয় তবে বেক পেইন তথা পিঠের ব্যথা কমে যায়। নিস্তেজ ও ঝিম ধরা, শরীরে রক্ত প্রবাহপ্রবাহ, স্বাভাবিক হয়।

নামাজ পড়ার মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদকম্পনও কমে যায়। যা মানুষের পেশীকে শিথিল করতে সাহায্য করে।

গবেষকরা দেখিয়েছেন, ‘যদি কেউ (যথাযথভাবে) রুকু করতে পারে তাহলে তার পিঠে ব্যথা থাকবে না, রুকুতে গেলে মানুষের পিঠ সমান্তরাল হয়। কিছু সময় পিঠ সমান থাকে।

নামাজের রুকু আদায় করার মাধ্যমে পিঠ, পায়ের উরু এবং ঘাড়ের পেশীগুলো সম্পূর্ণভাবে সম্প্রসারিত হয়। রক্তপ্রবাহ যথাযথভাবে চলতে থাকে। শরীরের ওপরের অংশে রক্তের প্রবাহ স্বাভাবিক মাত্রা ফিরে আসে।


নামাজে তাকবিরে তাহরীমা বলার সময় কাঁধ বরাবর হাত উঠাতে হয়। 

হযরত ইয়ায়েল ইবনে হুযর (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি রসুল সাঃ কে দেখেছেন, যখন নামাজে দাঁড়াতেন, তখন এমনভাবে উভয় হাত উঠাতেন যে, তা কাঁধ বরাবর থাকতো এবং বৃদ্ধাঙ্গুলিদয় কান বরাবর হতো ( আবু দাউদ ১ম খন্ড ১০৫ পৃঃ)

গবেষণা অনুযায়ী দু হাত কান বরাবর উঠালে কাঁধ ও গলার ব্যায়াম হয়। এটা মানসিক রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। 

মুসলমানরা যখন নামাজ পড়ে তখন বাম হাতের উপর ডান হাত রাখে।

এ সম্পর্কে হাদীসে এসেছে।  ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি ডান হাতের উপর বামহাত রেখে নামায পড়ছিলেন। নবীজী (সাঃ) তা দেখতে পেয়ে তার বাম হাতের উপর ডানহাত রেখে দেন। ( আবু দাউদ ইফাবা বঙ্গাঃ জুন- ৯০, ১ম খন্ড ৪১০ পৃঃ ৭৫৫ নং হাদীস/নাছায়ী/ইবনে মাজাহ)

গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের ডানহাত থেকে অদৃশ্য পজেটিভ আলোকরশ্মি নির্গত হয় এবং বামহাত থেকে অদৃশ্য নেগেটিভ আলোকরশ্মি নির্গত হয়। নামাযী ব্যাক্তির দৃষ্টি দাড়ানো অবস্থায় সিজদার স্হানে থাকে। যেহেতু দৃষ্টি বাম হাতের উপর স্হাপিত ডান হাতের উপর দিয়ে সিজদার স্হানে পতিত হয়, ফলে দৃষ্টি পজেটিভ রশ্মি অতিক্রম করে যা চোখের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও অনেক চিকিৎসক প্যারালাইসিস রোগীদের জন্য পরামর্শ দেন, তারা যেন ডান হাতের উপর বাম হাত রেখে কিছু সময় বসে থাকেন। এতে একহাত থেকে নির্গত আলোকরশ্মি অপর হাতে স্হানান্তরিত হয়ে নাড়াচাড়া করার শক্তি সঞ্চয়ে সহায়তা করে।

হাদীস অনুযায়ী নামাজে পুরুষদের নাভির নিচে হাত বাঁধা উত্তম

আবু জুহাইফা রাযিঃ) হতে বর্ণিত। আলী রাঃ বলেন, নামযরত অবস্থায় নাভির নীচে বাম হাতের তালুর উপর ডান হাতের তালু রাখা সুন্নাতর অন্তর্গত । ( আবু দাউদ ইফাবা বঙ্গাঃ জুন- ৯০,১ম খন্ড ৪১০ পৃঃ ৭৫৬ নং হাদীস)

পাকিস্তানের বিশিষ্ট ডাক্তার তারেক মাহমুদ বলেন, মানুষের ডানহাত থেকে নির্গত পজেটিভ আলোকরশ্মি ও বামহাত থেকে নির্গত নেগেটিভ আলোকরশ্মি মিশ্রিত হয়ে এমন ক্রিয়ার সৃষ্টি করে যা নাভির মাধ্যমে শিরা- উপশিরায় প্রবেশ করে হৃদপিন্ডকে শক্তিশালী ও যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে।

ইসলামে কিছু ভিন্ন মাজহাবের মতে পুরুষদেরকে এবং সকল মাজহাব এবং আলেমদের মতে মহিলাদেরকে নামাজে বুকের উপর হাত বধতে হয়। 

ডাঃ ডারউইনের মতে মহিলারা যখন বুকের উপর হাত বেঁধে আল্লাহ তায়ালার প্রতি মনোযোগী হয়। তখন হালকা নীল ও সাদা রঙের এক বিশেষ আলোকরশ্মি সৃষ্টি হয় যা নারীর শরীরের ভেতরে আসা- যাওয়া করতে থাকে। যার ফলে রোগ- প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং তার কখনো ক্যান্সার রোগ হয় না।


ওয়াইল ইবনে হুজর রাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি রাসূল সাঃ দেখেছি তিনি যখন সিজদা করছিলেন দু হাত রাখার আগে দু হাটু রেখেছিলেন। আর যখন সিজদা থেকে উঠছিলেন তখন দু হাটুর আগে দু হাত তুলেছিলেন। ( তিরমিযী ইফাবা জুন - ৯৮,১ঃ২৫৫ঃ২৬৮)

গবেষণায় দেখা গেছে, সিজদার সময় মাথার শিরা- উপশিরাগুলোতে অন্যান্যা অঙ্গ - প্রত্যঙ্গের তুলনায় রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়, যা দৃষ্টিশক্তি ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে।


পৃথিবীর চুম্বক মেরুদন্ডের উত্তর-মেরু হতে দক্ষিণ-মেরুর দিকে একপ্রকার চুম্বক বলরেখা প্রবাহিত হচ্ছে এবং এর দ্বারা পৃথিবী বহিঃ স্তুরের মধ্য দিয়ে একপ্রকার ইলেকট্রন আবর্তিত হচ্ছে। উক্ত ইলেকট্রন চক্রগুলো কর্তিত হয়ে একপ্রকার শক্তিশালী বলরেখা উৎপন্ন হয়।এ শক্তিশালী বলরেখা সেলফ ( SELF = Straight Electro magnetic lines of Force) ভুপৃষ্ঠ হতে লম্বভাবে বায়ুমন্ডলে নিক্ষিপ্ত হয়ে চামড়া, মাংস ভেদ করে মস্তিষ্কে পৌছে যায়। মানুষের মস্তিষ্কে বিভিন্নভাবে ইলেকট্রন জমা হয়। মস্তিষ্কে এই ইলেকট্রন বেশি জমা হলে মস্তিষ্ক‌ উত্তাপ হয়ে সমস্ত স্নায়ুতন্রও উত্তাপ হয়ে যায়, ফলে ঐ স্নায়ুতন্ত্র দ্বারা পরিচালিত সমস্ত অঙ্গ - প্রত্যঙ্গও উত্তেজিত হয়ে উঠে; মেজাজ খিটখিটে, উগ্রমেজাজ, অল্প কথায় বেশি রাগ দেখা দেয়। প্রতিদিন কয়েকবার কপাল ও নাকের অগ্রভাগ ভুপৃষ্ঠ বা কোনো পাকা মেঝের উপর স্পর্শ করলে সেলফ মস্তিষ্কের মধ্যে প্রবেশ করে ঐ বাড়তি ইলেকট্রন মস্তিষ্কে থেকে দূর করে দেয় ফলে অধিকাংশ উত্তাপ মস্তিষ্ক স্হায়ীভাবে ঠান্ডা হয়।

সেলফ দিনের দুই প্রান্তে ও রাতের একাংশে বেশি শক্তিশালী ও কার্যকরী থাকে এজন্য ঐ সময় কপাল ও নাকের অগ্রভাগ ভুপৃষ্ঠ স্পর্শ করলে অর্থার সিজদার মাধ্যমে নামাজ আদায় করলে মাথায় জমাকৃত ইলেকট্রন অধিক পরিমাণে ভূপৃষ্ঠে চলে গিয়ে মস্তিষ্ক ঠান্ডা হয়। যার ফলে অন্যায় কাজের স্প্রীহা মানুষের থাকে না ফলে স্বভাবতই মানুষ ভদ্র ও নম্র স্বভাবের হয়ে উঠে। মস্তিষ্কের প্রয়োজনাতিরিক্ত ইলেকট্রন মুক্ত না করলে গ্যাসষ্টিক, আলসার, উচ্চ- রক্তচাপ, ডায়াবেটিস , শরীর দাহ, অনিমিত ঋতু স্রাব, সপ্নদোষ, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি রোগ সৃষ্টি করে।

এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বিংহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক সেজদা সম্পর্কে জানান, ‘মানুষ যখন সেজদায় যায়, তখন শরীরের সব হাড়ের জোড়াগুলো নমনীয় হয়। হাড়ের ওপর যে চাপ পড়ে তা স্বাভাবিক ও শিথিল হয়। সেজদার জন্য জমিনে মাথা রাখার কারণে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়। উচ্চ রক্ত-চাপ কমে যায়।


ধীরস্থিরভাবে সেজদা আদায়ের মাধ্যমে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি শরীরের ভারসাম্য ফিরে আসে। শ্বাস-প্রশ্বাসে স্বাভাবিক গতি ফিরে আসায় মানুষ স্বস্তি লাভ করে। সুস্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য নামাজ অনেক উপকারি। এ নামাজের মাধ্যমেই মানুষ আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করে।

রাসূল সাঃ এর হাদীস অনুসারে তাড়াহুড়ো না‌ করে ধীর স্থিরে মসজিদে যাওয়া উত্তম। এরও কিছু বৈজ্ঞানিক সুফল রয়েছে।

মানুষ যখন দৌড় দেয় তখন মানুষের হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় কিন্তু হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগে। দৌড়াতে দৌড়াতে মসজিদে গেলে হৃদস্পন্দনের অস্বাভাবিক গতি নামাজের মধ্যে একাগ্রতা হাসিলের ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করে। এজন্যই প্রিয় নবী সাঃ দৌড়াতে দৌড়াতে মসজিদে এসে নামাযে দাড়াতে নিষেধ করেছেন। 

দর্শক মন্ডলি শুধু এগুলোই নয়। আলাদাভাবে পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। আসুন সেগুলোও জেনে নেওয়া যাক।


ফজরের নামাজের বৈজ্ঞানিক সুফল।


ফজরের সময় নামাজ আদায় করলে সারা রাত ঘুমের পর হালকা অনুশীলন হয়ে যায়। এ সময় পাকস্থলী খালি থাকে তাই কঠিন অনুশীলন শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এ সময়ে নামাজ আদায় করলে নামাজি অবসাদগ্রস্ততা ও অচলতা থেকে মুক্তি পায়। মস্তিষ্ক ফ্রি হয়ে পুনরায় চিন্তা করার জন্য প্রস্তুত হয়।


এ সময়ে নামাজি হেঁটে মসজিদে যায় আর আত্মা পরিচ্ছন্ন, প্রশান্ত পরিবেশ থেকে সূক্ষ্ম অনুভূতি লাভ করে- যা খুবই উপকারী। এ সময়ে দেহ পরিষ্কার হয়। দাঁত পরিষ্কার, অঙ্গ ধোয়া ও পেশাব-পায়খানা থেকে পবিত্রতা অর্জন হয়ে যায়। এতে জীবাণুর আক্রমণ থেকে বাঁচা যায়। ডা. মাহমুদ চুগতাই বলেন, ফজর নামায পড়লে, অন্ত্ররোগ ও আলসার থেকেও বাঁচা যায়। 


জোহরের নামাজের বৈজ্ঞানিক সুফল।


মানুষ জীবিকার জন্য দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন কাজ করে। এতে ধুলা, ময়লা, বিষাক্ত কেমিকেল শরীরে লাগে। দেহে জীবাণু আক্রমণ করে। ওজু করলে এসব দূর হয় এবং ক্লান্তি দূর হয়ে দেহ পুনর্জীবন লাভ করে। গরমের কারণে সূর্য ঢলে পড়ার সময় বিষাক্ত গ্যাস বের হয়। এ গ্যাস মানবদেহে প্রভাব ফেললে মস্তিষ্ক, পাগলামিসহ বিভিন্ন রোগ হতে পারে। এ সময় ওজু করে নামাজ আদায় করলে এ গ্যাস প্রভাব ফেলতে পারে না ফলে দেহ বিভিন্ন রোগ থেকে বেঁচে যায়।


আসরের নামাজের বৈজ্ঞানিক সুফল।


পৃথিবী দুই ধরনের গতিতে চলে। লম্ব ও বৃত্তীয়। যখন সূর্য ঢলতে থাকে তখন পৃথিবীর ঘূর্ণন কমতে থাকে। এমনকি আসরের সময় একেবারেই কমে যায়। এ সময় রাতের অনুভূতি প্রবল হতে থাকে। প্রকৃতির মধ্যে স্থবিরতা এবং অবসাদগ্রস্ততা প্রদর্শিত হতে থাকে। আসরের নামাজের সময় অবচেতন অনুভূতির শুরু হয়। এ সময় নামাজ আদায় করলে অতিরিক্ত অবসাদগ্রস্ততা, অবচেতন অনুভূতির আক্রমণ থেকে বাঁচা যায়।এতে মানসিক চাপ ও অস্থিরতা কমে। নূরানি রশ্মি নামাজিকে প্রশান্তি দান করে।


মাগরিবের নামাজের বৈজ্ঞানিক সুফল।


সারাদিন মানুষ জীবিকার জন্য শ্রম ও কষ্টের মধ্যে কাটায়। মাগরিবের সময় ওজু করে নামাজ আদায়ের ফলে আত্মিক ও দৈহিক প্রশান্তি লাভ হয়। এ সময় নামাজ আদায়ে পরিবারের বাচ্চারাও অংশ গ্রহণ করতে পারে। এতে বাচ্চারা অনুগত, পুণ্যশীল হয়।


এশার নামাজের বৈজ্ঞানিক সুফল।


মানুষ কাজ শেষ করে বাসায় ফিরে রাতে খাবার খায়। এ সময় খেয়ে শুয়ে পড়লে বিভিন্ন রোগ হতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, অল্প ব্যায়াম করে বিছানায় গেলে কোনো সমস্যা হবে না। এশার নামাজ ব্যায়ামের চেয়েও বেশি উপযোগী। এ নামাজ আদায়ে শান্তি পাওয়া যায়, খাদ্য হজম হয় এবং অস্থিরতা দূর হয়।


তাহাজ্জুদের নামাজের বৈজ্ঞানিক সুফল।


 ডা. মাহমুদ চুগতাই বলেন, যারা দূরের জিনিস দেখে না এ সময়ে নামাজ আদায় করা তাদের চিকিৎসা। এছাড়াও এ সময়ে নামাজ আদায় করলে বুদ্ধি, আনন্দ এবং অসাধারণ শক্তির সৃষ্টি হয় যা নামাজিকে সারাদিন উৎফুল্ল রাখে।

দর্শক মন্ডলি, এই সবগুলো বিষয় বিজ্ঞান সবে মাত্র আবিষ্কার করেতে পেরেছে। তাহলে ভেবে দেখুন অদুর ভবিষ্যতে যখন বিজ্ঞান আরো উন্নত হবে, তখন নাজানি নামাজে রয়েছে এমন আরো কত সুফল বেড় হবে।

কোন মন্তব্য নেই