Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Classic Header

{fbt_classic_header}

Top Ad

//

New Post:

latest

আদম আঃ এর উচ্চতা ৯০ ফুট / ৬০ হাত হওয়া কি বৈজ্ঞানিক ভাবে সম্ভব?

  আদম আঃ এর উচ্চতা ৬০ হাত ছিল, আর বর্তমানে মানুষের উচ্চতা ৫ থেকে ৬ ফুট। যদি আদম আঃ এর উচ্চতা ৯০ ফুট হয় তাহলে আমাদের উচ্চতা ৫ থেকে ৬ ফুট কেন...

 

আদম আঃ এর উচ্চতা

আদম আঃ এর উচ্চতা ৬০ হাত ছিল, আর বর্তমানে মানুষের উচ্চতা ৫ থেকে ৬ ফুট। যদি আদম আঃ এর উচ্চতা ৯০ ফুট হয় তাহলে আমাদের উচ্চতা ৫ থেকে ৬ ফুট কেন। এ সম্পর্কে বিজ্ঞান কি বলে? জানতে হলে এই ভিডিও শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখতে থাকুন।
দর্শক মন্ডলি অনেক নাস্তিকরা , বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক যুক্তির মাধ্যমে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন, আদম আঃ এর উচ্চতা, ষাট হাত হওয়া কখনোই সম্ভব নয়। তাই আজকে আমরা ঐ নাস্তিকদের যুক্তি গুলি দিয়েই প্রমাণ করবো, আদম আঃ ৯০ ফুট লম্বা ছিলেন।

নাস্তিকদের প্রথম যুক্তি বিবর্তনবাদ।



 তারা মানে করে বানর থেকে মানুষ হয়েছে। আর যেহেতু বানর মানুষ এর থেকে খাটো, তাই তারা ভাবে মানুষ তাদের পূর্বপুরুষদের থেকে খাটো না হয়ে, লম্বা হয়েছে।
কিন্তু বিবর্তন থেকে মানুষের সৃষ্টি হয়েছে কিনা?
মূলত,
বিবর্তন থেকে মানুষের সৃষ্টি হয়নি, কারন যদি বিবর্তন থেকে মানুষের সৃষ্টি হতো তাহলে পৃথিবীতে মানুষের পর সবচাইতে বুদ্ধিমান প্রাণী বানর হতো। কিন্তু পৃথিবীতে মানুষের পর সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী হলো শিম্পাঞ্জী ও ডলফিন। এখন নাস্তিকরা বলবে এরা মানুষের মতো বিবর্তনের আধুনিক রুপ। তাহলে আর একটি প্রশ্ন, বানরের পরের ধাপের প্রজাতী গুলো বেঁচে নেই কেন?



বানরের বংশধর মানুষ হলে আজ বানরের থেকেও সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার দরকার তার পরের প্রজাতি-গুলোকে, কিন্তু এখানে তার বিপরীত দেখাচ্ছে। এছাড়াও বিজ্ঞানী এলিস সিলভার এর থিউরি প্রমান করে বিবর্তন থেকে মানুষের সৃষ্টি হয়নি। আপনারা যদি এটা না যেনে থাকেন, তাহলে আই বাটনে ক্লিক করে আমার আগের ভিডিওটি দেখে আসতে পারেন। ভিডিও এর টাইটেল মানুষ নিজেই এলিয়েন।
এখন যেহেতু বিবর্তন থেকে মানুষের সৃষ্টি হয়নি, তাহলে কি বিবর্তন হয়নি।হয়েছে। মূলত বানর থেকে মানুষ নয় বরং মানুষ থেকে বানরের সৃষ্টি হয়েছে। এর কারনেই মানুষের দেহের সাথে বানরের দেহের এত মিল। আর এই যুক্তিও এটাই প্রমাণ করে মানুষ আরো খাটো হয়েছে।
এখন আসা যাক তাদের ২য় যুক্তিতে। পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণের ফলে পৃথিবীতে ১০ ফুট এর বেশী লম্বা মানুষ হওয়া সম্ভব নয়। আর তারা মনে করে মানুষ ১০ ফুট এর বেশী লম্বা হলে মানুষ হাড় ভেঙে পড়ে যাবে। আর মারা যাবে।
এর জন্য তারা যে যুক্তি গুলো দিয়েছেন,
স্কেল ল অনুযায়ী কোন প্রাণী বা বস্তুর দেহের ওজন বাড়ে তার দেহের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধির হারের ঘনফল হিসাবে। সাধারণতঃ একজন সুস্হ সবল সুঠাম দেহের ৫ ফুট উচ্চতার পুরুষের ওজন মোটামুটি ভাবে ১১৫ পাউন্ডের মত হয়। এখন কোন মানুষের উচ্চতা যদি ১৫ ফুট হয় তবে আমরা জানি স্কেল ল অনুযায়ী তার দেহের ওজন বেড়ে যাবে দেহের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধির হারের ঘনফল হিসাবে। মানে মাত্র তিন গুন বেশী লম্বা হওয়ার কারণে ঐ মানুষটির ওজন হবে ৩ * ৩ * ৩ = ২৭ গুন বেশি। অর্থাৎ ১৫ ফুট মানুষটির ওজন হবে (১১৫ * ২৭) = ৩১০৫ পাউন্ড। আর ৯০ ফুট আদমের হবে ১৮X১৮X১৮X১১৫= ৬৭০৬৮০ পাঊন্ড ।
আবার ১৫ কিংবা ৬০ কিংবা ৯০ ফুট লম্বা মানুষটির দেহের পেশী কিংবা হাঁড় যে পরিমাণ ভার বহন বা শক্তি প্রয়োগ করতে পারবে তা বৃদ্ধি পাবে হাঁড় এবং পেশীর পুরুত্বের আনুপাতিক হারে। ১৫ ফুট মানুষটির দেহের ভার বহন কিংবা শক্তি প্রয়োগ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে তার হাঁড় এবং পেশীর ক্রস সেকশনাল এরিয়া'র (cross sectional area) বর্গ হিসাবে। অর্থাৎ তার শক্তি হবে ৫ ফুট মানুষটির তুলনায় মাত্র ৩ * ৩ = ৯ গুন বেশি। মানে হল তিন গুন লম্বা হওয়ার কারণে তার ওজন বৃদ্ধি পাবে ২৭ গুন আর দেহের শক্তি বৃদ্ধি পাবে মাত্র ৯ গুন। অর্থাৎ তুলনামূলক বিচারে (দেহ এবং শক্তির) ৫ ফুট মানুষটির তুলানায় ১৫ ফুট মানুষটি হবে অনেক অনেক বেশী দুর্বল (এক তৃতীয়াংশ) এবং তার বডি স্ট্টাকচার তাকে খুব একটা সাপোর্ট দিতে পারবে না। ফলে হাটাহাটি কিংবা দৌড়াদৌড়ি করতে গেলেই তার হাঁড়গোড় ভেঙ্গে পরে থাকবার ব্যাপারে মোটামুটি নিশ্চিত থাকা যেতে পারে নাস্তিকদের দাবি।



তাদের ঐ পোস্টে একজন কমেন্ট করেছে, তো ঐ কমেন্ট টা আমি পড়ে শুনাচ্ছি।
আমার পরিচিত একজন লাল চাঁদ মিয়া উচ্চতায় ৫ ফুট ১ ইঞ্চি ওজন ৯২ কেজি পেশায় সাধারণ হোটেলের ওয়েটার। সারাদিন কাজের উপরেই থাকে, এতে তার কোন সমস্যা নাই। খুব স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে।
পরিচিত আরেকজনের নাম আল-আমীন উচ্চতা ৬ ফিট ওজন ৬১ কেজি পেশায় একজন পেশাদার বাস্কেটবল খেলোয়াড়। তারও জীবনযাপনের মান একদম স্বাভাবি।এখন লাল চাঁদের ওজন অনুযায়ী আল আমিনের ওজন হওয়ার কথা ১০৮ কেজি এবং স্কেল ল অনুযায়ী আরও অনেক বেশি। আবার আল আমিনের ওজন অনুযায়ী লাল চাদের ওজন হওয়ার কথা ৫০ কেজি। আল আমিনের ওজন মতে লাল চাঁদ ৫ ফুট ১ ইঞ্চি হয়েও ৯ ফুট ১ ইঞ্চি মানুষের শরিরের ভার বহন করছে স্বাভাবিক ভাবে। আবার লাল চাঁদের ওজন অনুযায়ী আল আমিন ৬ ফুট লম্বা হয়েও তার শরিরের ভার ৩ ফুট ২ ইঞ্চি মানুষের। লাল চাঁদ আর আল আমিন মিলে লেখকের উল্লিখিত সব অংকের … াড় মেরে দিল!এমন পরিস্থিতিতে লেখক এই দুজনের মধ্যে কাকে সঠিক মনে করবেন? নাকি দুজনেই ঠিক? যদি মনে করেন দুজনই ঠিক, তাহলে স্কেল ল অনুযায়ী চিকন সাইজের আল আমিন এর বডি উচ্চতা অনুযায়ী প্রশস্ত হওয়ার কথা বর্তমানের চেয়ে প্রায় দুই গুন বা তার বেশি আবার মোটু লাল চাঁদের উচ্চতা অনুযায়ী বডি প্রশস্ত হওয়ার কথা বর্তমানের চেয়ে প্রায় অর্ধেক বা তারও কম!
এর পরেও কি বিশ্বাস করতে হবে যে ১৫ ফুট লম্বা মানুষের ১০/১২ ফুট প্রশস্ত বডি হতেই হবে। এমন বিশ্বাস কি বাস্তবতার –াড় মেরে দেয় না?লেখক যদি মনে করেন “তাদের ব্যাপারটা অস্বাভাবিক তবে এমনটা হতেই পারে”
কিন্তু তারা তো স্বাভাবিক! এমনটা যদি হতেই পারে তাহলে আদম আঃ এর বেলায় অসম্ভব কেন???
এটা হজম করতে কষ্ট কোথায়? এটাতে এলার্জি??

লেখক সব খোড়া যুক্তি উপস্থাপন করে
রবার্ট ওয়াল্ডো, জেং জিনলিয়ান, এবং সুলতান কোসেন এর অসুস্থতার কথা উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করেছেন। এটা হাস্যকর, চরম হাস্যক।
লেখক এত তথ্য জানেন অথচ এটা জানেন না যে তারা তিনজনেই বেশি লম্বা হওয়ার জন্য অসুস্থ হননি, বরং অসুস্থতার জন্যই বেশি লম্বা হয়েছিলো
তবে তার এই যুক্তি গুলোর সাথে অনেকে দ্বীমত পোষন করতে পারেন। যেহেতু তিনি মোটা ও শুকনা মানুষের উদাহরণ দিয়েছেন। ৭"
তাই আমি আরো কিছু উদাহরণ দিচ্ছি।
উনাদের স্কেল অনুযায়ী একজন খাটো মানুষের চেয়ে লম্বা মানুষের শক্তি তুলনা মূলক কম হয়ে থাকে। এখন উদাহরণ হিসেবে পৃথিবীর সবচেয়ে পেশিবহুল শক্তিশালী মানুষের উদাহরণ দেওয়া যাক।
পৃথিবীর সবচেয়ে পেশিবহুল শক্তিশালী মানুষ এর মধ্যে একজন হলেন রনি কোলম্যান। এরপর ২য় হলেন আর্নোল্ড শোয়ার্জনেগার। এখানে আর্নোল্ড শোয়ার্জনেগার এর শক্তি রনি কোলম্যান এর থেকে কম। কিন্তু যদি উচ্চতা দেখি তাহলে আর্নোল্ড শোয়ার্জনেগার এর উচ্চতা 6 ft 2 in । আর অন্য দিকে রনি কোলম্যান এর উচ্চতা 5ft 11 in। এখানে স্কেল হিসেব করলে রনি কোলম্যান এর থেকে শোয়ার্জনেগার এর শক্তি বেশি হওয়ায় কথা। আর অন্য দিকে যদি যদি আমি নিজের উদাহরণ দেই, তাহলে আমার উচ্চতা ৫ ফুট সারে তিন ইঞ্চি। এখানে স্কেল অনুযায়ী আমার শক্তি রনি কোলম্যান এর থেকে যতটুকু কম হওয়ার কথা। তার থেকে আমার শক্তি আরো অনেক অনেক গুন কম হবে স্বাভাবিক। যেহেতু রনি কোলমেন পৃথিবীর সবচাইতে শক্তিশালী মানুষ এর মধ্যে একজন। তার মানে স্কেল এখানেও ভুল করছে। এখন আশা যাক আসল পয়েন্টে। স্কেল কেন ভুল করছে।
মূলত মানুষের শক্তি কখনোই শুধু উচ্চতা অনুযায়ী মাপা সম্ভব নয়। এখানে উচ্চতার সাথে সে কতটুকু খাদ্য গ্রহণ করছে, কতটুকুই কাজ করছে এটাও দেখতে হবে। তাহলে একটা মোটামুটি ধারণা করা সম্ভব।
মূলত একজন মানুষের শক্তি হ্রাস বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করে তার খাদ্য এবং পরিশ্রম।এর অনেক অনেক পরে উচ্চতা একটি ভুমিকা থাকে।
উদাহরণ স্বরূপ একজন ৫ ফুট লম্বা মানুষ প্রতি বেলা ২  প্লেট খাদ্য গ্রহন করেন, আর অন্য দিকে ৬ ফুট লম্বা ব্যাক্তিও ঐ সেইম খাদ্য ২ প্লেট গ্রহন করে। এখানে ঐ লম্বা লোকটির শক্তি খাটো লোকটির সমান অথবা কম হবে এটাই স্বাভাবিক। আর যদি ঐ লম্বা লোকটির শক্তি খাটো লোকটির থেকে বেশি হয় তাহলে বুঝতে হবে ঐ লম্বা লোকটির বুদ্ধি খাটো লোকটির থেকে কম। কারন খাদ্য গ্রহনের পর ঐ খাদ্যের পুষ্টি মানুষ এর শরীরে কর্ম অনুযায়ী ভাগ হয়ে যায়।
উদাহরণ স্বরূপ ঐ লম্বা লোকটি বেয়াম করে আর পরাশোনা কম করে, অন্য দিকে খাটো ব্যাক্তি পরাশোনা করে কিন্তু বেয়াম করে না। তাহলে ঐ লম্বা লোকটির শক্তি এবং খাটো লাকটি মোখস্ত শক্তি বেশি হবে। এখানে অনেকে জিগ্গেস করতে পারেন যদি খাট লোকটি পরাশোনা আর বেয়াম কোনটাই না করে, আর অন্য দিকে ঐ লম্বা ব্যাক্তি বেয়াম পড়াশোনা ২ টাই করে। তাহলে কি হবে। তাহলে ঐ খাটো ব্যাক্তি ২ প্লেট ভাত খেতে পারবে না। ১ কিংবা দেড় প্লেট খাদ্য খেলেই তার পেট ভরে যাবে। আর লম্বা ব্যাক্তির ২ প্লেট খাদ্য খাওয়ার পরও আরো খিদে বাকি থাকবে। আর একটা বিষয় জেনে রাখুন এটা যেহেতু উদাহরণ তাই এখানে খাদ্যের পরিমাণ আরো কম বেশি হতে পারে। আমি এখানে আন্দাজ করেই বললাম, আর এখানে শুধু বেয়াম আর পরাশোনার উদাহরণ দেওয়া হয়েছে এর মানে এই না যে এটা শুধু এগুলোর উপরই নির্ভর করবে। মূলত এটা নির্ভর করবে কাজের উপর। মানুষ চিন্তা করে, এটাও একটা কাজ, কারন এতেও সময় এবং এনার্জি প্রয়োজন হয়। যার কারনে এতেও পুষ্টির প্রয়োজন আছে।
তার মানে আমার বুঝতে পারলাম একজন মানুষের শক্তি তার লম্বা হওয়ার উপর নির্ভর করে না। এখানে পুষ্টি ও কাজের উপর নির্ভর করে।
এখন আসা যাক আদম আঃ এর উচ্চতা নিয়ে।তার উচ্চতা এত বেশি ছিল কেন। এবং মানুষের উচ্চতা কেন দিন দিন কমছে?
এর কারন হচ্ছে পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ। আপনারা যদি আমার আগের ভিডিও মানুষ নিজেই এলিয়েন এটা দেখে থাকেন, তাহলে জানতে পারবেন, পৃথিবী থেকে বেহেস্তর মধ্যাকর্ষণ অনেক কম ছিল। আর যেহেতু আদম আঃ কে বেহেস্তের জন্য তৈরি করা হয়েছিল তাই তার উচ্চতাও বেহেস্তর মধ্যাকর্ষন এর সাথে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার ভুলের কারনে তাকে অধিক মধ্যাকর্ষন যুক্ত একটি দুর্বল গ্রহে পাঠানো হয়েছে শাস্তি স্বরুপ। আর যেহেতু আদম আঃ বেহেস্তের পুষ্টিকর খাদ্য খেতেন, তাই তার শক্তি ও অনেক বেশি ছিল। আর পৃথিবীতে আসার পর তার যতটুকু শক্তি প্রয়োজন হতো সেই অনুযায়ী তার ক্ষিদে লাগতো। আর যেহেতু পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ বেহেস্তের তুলনায় অনেক বেশি তাই দিন দিন মানুষ খাটো হচ্ছে।
যদিও এর কোন প্রমাণের প্রয়োজন নেই যে, বেহেস্তীয় খাদ্য পুষ্টি কর বলে সেখানকার লোকদের শক্তি বেশি, এরপরও আমি এর একটি প্রমাণ দিচ্ছি।
আপনারা যদি তিরমিজি শরীফ এর  ২৫৩৬ নম্বর হাদিসটি পড়েন, তাহলে জানতে পারবেন বেহেস্তিয় পুরুষদের শক্তি হবে ১০০ জন পুরুষ এর সমান।
এখানে দেখুন একজন ৬ ফুট মানুষের হিসেবে ৯০ ফুট মানুষের শক্তি প্রয়োজন ৯০÷৬ = ১৫ গুন। আর ৯০ ফুট মানুষকে শক্তি দেওয়া হচ্ছে ১০০÷৬ = ১৬ গুন, মানে প্রয়োজনের থেকেও বেশি শক্তিদেওয়া হচ্ছে।

এখানে আর একটি বিষয় খেয়াল করুন, মানুষ দিন দিন যতো খাটো হচ্ছে, মানুষের মেধাও ততো বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নাস্তিকরা আর একটি প্রশ্ন করছেন, যদি পৃথিবীতে আদম আঃ এর মতো লাম্বা মানুষ থেকে থাকে তাহলে তাদের কোন ফসিল পেলনা কেন? যেখানে ডাইনোসরের ফসিল পাওয়া গেছে।
এখানে প্রথম কথা হচ্ছে বিজ্ঞানীরা তো আর পৃথিবীর সব জায়গা খুড়ে দেখনি।
আর দ্বিতীয় কথা হচ্ছে , আমরা জানি হিন্দু ধর্মে মুহাম্মদ সাঃ এর কথা বলা আছে। এছাড়া হিন্দু ধর্মের আরো অনেক কিছু ইসলাম ধর্মের সাথে মিলে যায়। আপনি যদি লক্ষ্য করেন, তাহলে দেখবেন হিন্দু ধর্মে মৃত দেহ পুরিয়া ফেলা হয়। আর ইসলাম ধর্মে কবর দেওয়া হয়। হিন্দু ধর্মে পুড়িয়ে ফেলার বিধান কোথা থেকে আসলো। এখানে কিন্তু এরকম ও হতে পারে শুরুর দিকে মানুষকে পুড়িয়ে ফেলার বিধান ছিল, আর কবর দেওয়ার বিধান আসতে আসতে মানুষের উচ্চতা ১০ ফিটের নিচে চলে আসে। যার কারনে বিজ্ঞানীরা এখনো ১০ ফিটের উপরে লম্বা কঙ্কাল পায়নি। আমি বলছিনা যে পূর্ববর্তী সময়ে শুধু পুড়িয়েই ফেলা হতো। এখানে যে কোন কিছু হতে পারে।কারন হাবিল কাবিল এর ঘটনা আমার এই যুক্তিকে ভুল প্রমান করে।

আবার এখানে এখানে এমনও হতে পারে আদম আঃ এর হাড় গুলো অনেক পুরাতন হওয়ার জন্য সেগুলো মাটির সাথে মিশে গেছে , এরপর ডাইনোসর এর ধব্বংস হতে হতে মানুষের উচ্চতা ১০ থেকে ২০ ফুটের মতো হয়ে উঠেছিল, যার কারনে হযরত নূহ আঃ এর সময় একটা উসিলার মাধ্যমে ডাইনোসর কে ধ্বংস করা হয়েছে। আর ঐ ১০-২০ ফুট লম্বা মানুষ এর কঙ্কাল গুলো বিজ্ঞানীরা এখনো খুঁজে পায়নী কারন বিজ্ঞানীরা তো সকল জায়গায় খুঁজে দেখেননি।যেমন উদাহরণ স্বরূপ আমি এখন যে যায়গায় দাঁড়িয়ে ভিডিও বানাচ্ছি, এখানেও থাকতে পারে, বিজ্ঞানীরা তো আর এখানে এসে খুঁজাখুজি করেনি।
তাই এখানে যেকোন কিছু হতে পারে। এখানে অবাস্তব হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
আশা করি বিষয় গুলো বুঝতে পেরেছেন
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সঠিক ভাবে বুঝার তৌফিক দান করুক।
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ আলাইহি ওবারাকাতুহ

কোন মন্তব্য নেই