Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Classic Header

{fbt_classic_header}

Top Ad

//

New Post:

latest

ডাইনোসর সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে কি বলা আছে

প্রায় ১৭ কোটি বছর ধরে, পৃথিবীতে ডাইনোসর এর বিচরণ ছিল। কিন্তু হঠাৎ কেন এই ডাইনোসর এর বিলুপ্ত ঘটলো। পবিত্র কুরআনে এ সম্পর্কে কি বলা হয়েছে। জ...

প্রায় ১৭ কোটি বছর ধরে, পৃথিবীতে ডাইনোসর এর বিচরণ ছিল। কিন্তু হঠাৎ কেন এই ডাইনোসর এর বিলুপ্ত ঘটলো। পবিত্র কুরআনে এ সম্পর্কে কি বলা হয়েছে। জানতে হলে এই ভিডিও শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখতে থাকুন।

ডাইনোসর এর বিলুপ্তের ইতিহাস জানতে হলে আমামাদে হযরত নূহ আঃ এর ঘটনা জানতে হবে। কারন ডাইনোসর এর বিলুপ্ত হযরত নূহ আঃ এর সময় ঘটেছিল।
মানুষ যখন আল্লাহ তায়ালা কে ভুলে যেতে শুরু করলেন, পৃথিবীতে দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে লাগলেন। তখন আল্লাহ তায়ালা হযরত নূহ আঃ কে নবী হিসেবে পাঠালেন। হযরত নূহ আঃ মানুষ দেরকে বলতে লাগলেন, তোমরা আল্লাহর প্রতি ইমান আন। এক আল্লাহর ইবাদত কর, মূর্তিপূজা ত্যাগ কর। ভালো কাজ কর। মন্দ কাজ থেকে বিরত থাক। আখিরাতের জীবনের ওপর বিশ্বাস রাখ।” তাঁর এই দাওয়াতে মাত্র আশি জন নারী-পুরুষ ইমান আনল। বাকি লোকজন তাঁর কথার গুরুত্ব দিল না। তাঁকে পাগল বলে উপহাস করল। আর কষ্ট দিতে লাগল।
হযরত নূহ (আ) দীর্ঘদিন তাদের অত্যাচার সৌয্য করলেন । কিন্তু অবশেষে হতাশ ও বিরক্ত হয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করলেন, হে আল্লাহ! আমি তাদেরকে তোমার দীনের পথে আনার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছি, কিন্তু তারা আমার কথায় সাড়া দেয় নি। আপনি আমাকে সাহায্য করুন। আপনি তাদের ধ্বংস করে দিন।
আল্লাহ তায়ালা হযরত নূহ (আ)-এর দোয়া কবুল করলেন। আল্লাহ তাঁকে জানিয়ে দিলেন ‘কিছুদিনের মধ্যে তাদের ওপর আমার গজব নাজিল হবে। মহাপ্লাবন আসবে। আল্লাহ তাঁকে একটি নৌকা তৈরি করতে বললেন। বলে দিলেন, গজবের আভাস দেখা দিলেই ইমানদার লোকজনদের নিয়ে নৌকায় উঠে যাবে। সাথে দরকারি আসবাবপত্রও নেবে।'
হযরত নূহ (আ) আল্লাহর নির্দেশে এক বিরাট নৌকা তৈরি করলেন। আর সবাইকে শোনালেন: আল্লাহর কথা না মানার কারণে ভীষণ আজাব আসবে। সবাইকে হুঁশিয়ার করলেন। কিন্তু লোকজন তাঁর কথা শুনল না। সৎপথে এলো না। তারা হযরত নূহ (আ) কে আরও বেশি বেশি ঠাট্টা উপহাস করতে লাগল। তারা বলতে থাকল: “এ মরুভূমিতে কীভাবে নৌকা ভাসবে
অবশেষে সত্যি সত্যি তুফানের আলামত দেখা দিল। মাটি ফুঁড়ে পানি বের হলো। শুরু হলো প্রবল ঝড় ও বৃষ্টি। বন্যা আসল। হযরত নূহ (আ) তাঁর ইমানদার লোকজনসহ নৌকায় আরোহণ করলেন। আর তিনি সেখানে শুধু মানুষ কেই নিলেন না। নিলেন প্রতিটি জীবজন্তুর এক এক জোড়া এবং প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র। কারন যদি ঐ সব জিবন্তদের, সাথে না নেওয়া হয়, তাহলে তারাও মহা প্লাবনে ধ্বংস হয়ে যাবে। যার কারনে তখন শুধু ঐসব জীব জন্তু কেই নেওয়া হলো, যেগুলো না নিলে পৃথিবীতে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। আর ডাইনোসর ঐরকম গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী ছিলনা, যে ডাইনোসর ধ্বংস হয়ে গেলে পৃথিবীর মানুষ চলতে পারবে না। এর কারনে তখন ডাইনোসর কে নৌকায় নেওয়া হয়নি বিধায় ডাইনোসর ঐ মহাপ্লাবনে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।
তবে অনেকে সূরা বাকারার ৩০ নাম্বার আয়াত এবং সূরা আল আরাফ এর ৫৬ নম্বর আয়াতের মাধ্যমে বলেছেন ডাইনোসর সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা আছে। কিন্তু আমি ঐ যুক্তি গুলোর সাথে একমত নই। কারন সূরা বাকারার ৩০ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ( স্মরণ কর, তোমার প্রতিপালক যখন ফেরেশতাদেরকে বললেন, ‘আমি যমীনে প্রতিনিধি সৃষ্টি করছি’; তারা বলল, ‘আপনি কি সেখানে এমন কাউকেও পয়দা করবেন যে অশান্তি সৃষ্টি করবে ও রক্তপাত ঘটাবে? আমরাই তো আপনার প্রশংসামূলক তাসবীহ পাঠ ও পবিত্রতা ঘোষণা করি’। তখন আল্লাহ তায়ালা বললেন, ‘আমি যা জানি, তোমরা তা জান না’।

ডাইনোসর সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে কি বলা আছে


আর সূরা আল আরাফ এর ৫৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে,
এবং পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার পর তাতে অশান্তি বিস্তার করো না এবং (অন্তরে তাঁর) ভয় ও আশা রেখে তাঁর ইবাদত কর। নিশ্চয়ই আল্লাহর রহমত সৎকর্মশীলদের নিকটবর্তী।
এই দুইটি আয়াত মূলত জীনদেরকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে। কারন মানুষ সৃষ্টির পূর্বে জীনদের সৃষ্টি করা হয়েছিল, এবং তারা পৃথিবীতে দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি করতো। কিন্তু একটা আয়াতের যেহেতু অনেক ব্যাখা হয়। তাই অনেকে ধারণা করছেন এখানে ডাইনোসর এর কথাও বলা আছে। কিন্তু তার এর জন্য যে যুক্তি গুলো দিয়েছেন, ডাইনোসর পৃথিবীতে দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি করতো, এগোলো একদম ভুল ধারনা। ডাইনোসর মানুষ কিংবা জীনদের মতো নয়। তারা অন্যানা প্রাণীর মতোই একটা জীব। ডাইনোসর যদি দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি করে তাহলে বাঘ, সিংহ এগোলোও দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি করে বলতে হবে। এরা সবাই অবোঝ প্রাণী। আর মানুষও কিন্তু নিজে প্রয়োজনে অন্য প্রাণিকে হত্যা করে খেয়ে ফেলে। এটি মোটেও দাঙ্গা হাঙ্গামা নয়। দাঙ্গা হাঙ্গামা হচ্ছে যখন মানুষ মানুষকে মারবে। জীন জীনদের মারবে আর ডাইনোসর ডাইনোসরদের। আর ডাইনোসর থাকাকালীন মানুষের ও উচ্চতা অনেক বেশি ছিল। আদম আঃ এর উচ্চতা ৬০ ফুট ছিল, আরনুহ আঃ তার কাছাকাছি সময়ের আঃ নবী। তার কারনে নূহ আঃ এর সময় বা তার পূর্বে ডাইনোসর থাকলে এটা কোন এতে ভিতির কোন কারন ছিল না।
আশা করি বিষয় গুলো বুঝতে পেরেছেন
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে ভালো রাখুক সুস্থ রাখুক
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওবারাকাতুহ

কোন মন্তব্য নেই